এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, হোন্ডা চুরি হওয়ার পর অনেকেই থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানার ওসিরা মনে করেন চুরির মামলা করলে সেটা খুঁজতে কষ্ট করতে হবে। অনেকেই এ কাজটি করে। তাই আমরা বলবো, ভুক্তভোগীরা অবশ্যই জিডি না করে মামলা করবেন।
তিনি আরও বলেন, মামলা করা হলে পরবর্তী সময়ে গোয়েন্দা বিভাগ সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেবে। আর থানা এ ধরনের মামলা নিতে অস্বীকার করলে সরাসরি গোয়েন্দা বিভাগে চলে আসবেন। আমরা মামলা করে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাবো। আজ বৃহস্পতিবার ২৫ মে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য মো. জাকারিয়া হোসেন হৃদয়কে (২৫) বুধবার (২৪ মে) হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি মোটরসাইকেল। রাজধানী ও আশপাশ থেকে চুরি হওয়া এই ১২টি মোটরসাইকেল হবিগঞ্জের বন্ধু মোটরসে বিক্রি হয়েছে। মোটরসাইকেল চুরি হয়ে গেলে থানায় জিডি করেন কিন্তু কেউ কোনও মামলা না করায় আমরা এ ধরনের মামলা খুব একটা পাই না।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ১০ মে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল হারানোর ঘটনায় মামলা করা হয় ভাটারা থানায়। মামলার ছায়া তদন্ত করে হবিগঞ্জের লাখাই রোডে সদর থানা এলাকায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয় বন্ধু মোটরস গ্যারেজ নামে একটি গ্যারেজে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্যারেজের মালিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে গ্যারেজ মালিকের সন্ধান আমরা পেয়েছি। তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হৃদয় জানায় যে চোর চক্রের এই সদস্যরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও নরসিংদী, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশপাশ এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি করে। চোর চক্রের এক সদস্য সুমন মোটরসাইকেল চুরির জন্য আগে রেকি করে। কোনও শপিং সেন্টার বা মার্কেটের সামনে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে ভেতরে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় অন্য সদস্যদের।
তিনি বলেন, জিতু ও জাহাঙ্গীর নামে দুই সদস্য তাদের সঙ্গে থাকা নকল চাবি দিয়ে লক খুলে মোটরসাইকেলটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। চক্রের আরও দুই সদস্য হলো খালেক ও ইকবাল। চুরি করা মোটরসাইকেল কেনে এ দুজন। পরে তারা হবিগঞ্জের সেই বন্ধু মোটর গ্যারেজে নিয়ে মালিকের কাছে বিক্রি করে। ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রতিটি মোটরসাইকেল বিক্রি করা হয়। হারুন অর রশিদ আরও বলেন, যেসব মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোর কাগজপত্র যাচাই করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।